শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
সাইফুল ইসলাম : কক্সবাজার পৌর এলাকার পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় যত্রতত্রে ময়লা-আবর্জনার ফেলা হচ্ছে। এতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় ও পর্যটকদের। পাশাপাশি দূর্গন্ধে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। এভাবেই যত্রতত্রে ময়লা-আবর্জনার দূগন্ধের ফলে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকররা।
শহরের উল্লেখযোগ্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে সড়কের পাশে, আল ফুয়াদ হাসপাতালের উত্তর পাশে, জেলা আদালত চত্বরের চতুর্থ পাশে এবং সড়কের নালাগুলোতে আবর্জনার স্তূপ পড়েছে। ফলে বেড়েছে মশা-মাছির চরম উপদ্রব।
শহরের কোথাও ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান ও ডাস্টবিন না থাকায় পৌরবাসী পলিথিনে ভরে সড়কেই ফেলে রাখছেন আবর্জনা। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে পাশের নালাগুলোতে। বেশির ভাগ নালার কোনো ঢাকনা নেই। প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষায় পৌরবাসী শহরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন।
পরিবেশবাদীরা বলেন, কক্সবাজারের সব দিকেই আজ পরিবেশ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এছাড়া সড়কের উপরে এবং শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমে থাকায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান এখন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নীচতলার বারান্দার পাশের দৃশটি দেখলে অভাক লাগে। প্রতিদিন বিজ্ঞ বিচারপতি এই কার্যালয়ের নীচতলায় অবস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন। তখনই তারা দেখতে পান আদালতের বারান্দায় ময়লা পানি বেয়ে পড়ছে। বারান্দার নীচে মল মুত্রে সয়লাব হয়ে গেছে। একটা যেন দুর্গন্ধময় পরিবেশ। জেলাবাসী অভিভাবক জেলার শীর্ষ কর্মকর্তার অফিসের সামনের বারান্দায় ময়লা আবর্জনা ও মল মুত্র এভাবে বেরিয়ে পড়ছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বিভিন্ন কমোড টয়লেট সেফটি ট্যাংক ও সেফটি ট্যাংকের পাইপ ফেটে গিয়ে বারান্দায় মানুষের পায়ের নিচে চলে আসছে। দীর্ঘদিন থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের এই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজে আসা লোকজন। এই ময়লা মলমুত্র পায়ে মাড়িয়ে আদালতে ঢুকছে আর বের হচ্ছে । এই অফিসে প্রতিদিন অনেক ভিআইপি ও ভিভিআইপিও আসে। তারাও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চতুর্থপাশে তাকালে এই ময়লা মুল মুত্র দেখতে পায়।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply